সিলেটের গোয়াইনঘাট প্রশাসন কর্তৃক চোরাচালান প্রতিরোধে জিরো টলারেন্স ঘোষণার উপর বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে সীমান্ত চোরাচালান আমদানি ও পাচার করে আসছে একটি চক্র। দীর্ঘদিন থেকে গোয়াইনঘাট উপজেলার, বিসনাকান্দি ইউনিয়নের ,,বিছনাকান্দি, দমদমীয় সিমান্ত, পান্তুমাই, বিজিবি ক্যম্প,লক্ষণ ছড়া এসব এলাকা সীমান্তের চোরাইপথে আসা ভারতীয় পণ্য, গরুচিনি, পিয়াজ, মাদক, বিভিন্ন ব্রান্ডের স্মার্ট ফোন, মোটরসাইকেল সহ অনন্যা ভেজাল সামগ্ৰী চোরাই পথে নিয়ে আসেন বাংলাদেশে। এসকল অবৈধ জিনিস বাংলাদেশের প্রবেশ করার ক্ষেত্রে সাধারণ দিনমজুর লেবার দের শাতশত টাকা থেকে এক হাজার টাকার বিনিময়ে ডে লেবারের কাজ করানো হয়। এতে অনেক সময় অনেক লেবার ভারতীয় খাসিয়া ও বিএসএফ এর গুলিতে আহত ও নিহত হন। কিন্তু এর ফাঁকে বেচেঁ যায় মুল হোতারা। আসা এসকল পণ্যের সরকারি কোন বৈধতা না থাকলেও চোরাইপথে আসা ভারতীয় পণ্যের উপর প্রশাসনের নাম ভেঙ্গে দৈনিক কোটি কোটি টাকার চাঁদা আদায় করছেন,এই মাফিয়া দরবেশ চক্রের সদস্যরা। এতে আলোচনায় উঠে এসেছে ইউনিয়নের উপরগ্রামের বাসিন্দা গোলাম হোসেন(৪৩) লামনী গ্রামের আব্দুল খালিক(৪০) ও বর্তমান ইউপি সদস্য জালাল উদ্দীন মেম্বার এর নাম। স্থানীয় ব্যবসায়ী আকবর মিয়া জানান আমরা নানান ঝুঁকি নিয়ে ভারত থেকে গরু কিনে আনলে গোলাম হোসেন চক্র গরু প্রতি হাজার থেকে পনেরোশত টাকা লাইনের নামে আদায় করেন। ভারতীয় গরু হাওর অঞ্চল লামনী, পাতলী কোনা, পশ্চিম উপরগ্রাম পশ্চিম হাদারপার হয়ে তোয়াকুল বাজারের রশিদ দিয়ে যাচ্ছে দেশের সর্বপ্রন্তে, প্রতিটি গরু থেকে নেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন আসছে ২ থেকে ৩ হাজার ভারতীয় গরু, এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায় এই মাফিয়া চক্র ৫ আগষ্টের পূর্বে থেকেই স্থানীয় প্রশাসন ও এলাকা কে ম্যানেজ করে চলছে এসব কার্যক্রম।এলাকার বাসিন্দারা জানান ৫ আগষ্টের পূর্বে স্থানীয় যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে লাইন নামের বখরা আদায় করা হলেও বর্তমানে বিএনপি নামধরে ও দলের নাম ব্যবহার করে হর হামেশাই চলছে এসব কার্যক্রম।জানতে চাইলে নিজকে একজন ব্যবসায়ী দাবি করে গোলাম হোসেন বলেন আমি এসব কাজের সাথে জড়িত নই, আমার বিরুদ্ধে একটি মহল প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে, আমি এসবের নিন্দা জানাই।