একজন আব্দুল হাকিম চৌধুরী ওরফে দরবেশ বাবা ও দশ গাও নওয়া গাঁও হাই স্কুল এন্ড কলেজের ১৫০০ ছাত্রছাত্রী ভবিষ্যত
আব্দুল হাকিম চৌধুরী পিতার নামঃ আব্দুল হান্নান চৌধুরী ওরফে টুনূ মিয়া । টুনু মিয়া ১৯৭১ সালে অত্র এলাকার রাজাকারের কমান্ডার ছিলেন। আব্দুল হাকিম চৌধুরী গত আওয়ামীলীগ আমলের বিএনপি থেকে গোয়াইনঘাট উপজেলার সাবেক দুই দুই বারের নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন। গোয়াইনঘাটের অঘোষিত দরবেশ তিনি। আওয়ামীলীগ বিএনপি সর্ব মহলে তিনি দরবেশ বাবা হিসেবে খ্যাত। তিনি গোয়াইনঘাট উপজেলার দশ গাঁও নওয়াগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের প্রতিষ্ঠা থেকে দীর্ঘ ৩০ বছর যাবত অত্র বিদ্যালয়ের সভাপতি ছিলেন। তিনি যাকে ইচ্ছে শিক্ষক নিয়োগ দেন ,আবার স্কুল থেকে বিতাড়িত করেন। তিনি স্কুল, কলেজ , মাদ্রাসা এমনকি গ্রামের জামে মসজিদের কমিটিও নির্ধারন করে থাকেন, সেখানে নিজের পছন্দের লোককে পদে রাখেন। সেই ১৯৯৫ সাল থেকে এই স্কুল প্রতিষ্টাকালীন ম্যানেজিং কমিটিতে তিনি সভাপতি এবং তার পছন্দের লোক দিয়েই স্কুল ও কলেজ চলে আসছিল ।এর ফলে প্রতি বছর বিদ্যালয়ের রেজাল্ট খুব খারাপ হয়ে থাকে। অভিভাবকের মতামত তোয়াক্কা না করেই তিনি নিজ ইচ্ছে স্বাধীন এসকল প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন। খলিলুর রহমান অত্র বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক। তিনি শুরুতে এই স্কুলের কেরানি ছিলেন। শুধু দরবেশ বাবার তোষামুদে তিনি হয়ে গেলেন প্রধান শিক্ষক এবং কলেজ প্রতিষ্ঠার পর স্কুল ও কলেজের প্রিন্সিপাল । খলিলুর রহমান একজন পুতুল প্রধান শিক্ষক মাত্র। হাকিম চৌধুরীর কথায় তিনি উঠেন এবং বসেন। নিয়োগ বাণিজ্য থেকে শুরু করে স্কুলের বেতন-ভাতাদি, সার্টিফিকেট বানিজ্য করে খলিলুর রহমানের এখন কোটি টাকার বাড়ি, ব্যাবসা প্রতিষ্টানের মালিক। দশ গাও নওয়া গাও ঊচ্চ বিদ্যালয় এস এস সি পরীক্ষার কেন্দ্র হওয়ার সুবাধে তিনি তার ছেলেকে এই স্কুলের তিনজন শিক্ষক দিয়ে বই দেখে দেখে প্রশ্নের উত্তর লিখে ২০২৩ সালের এস এস সি পরীক্ষায় তার ছেলে জিপিএ ৫ অর্জন করে।২০২৩ সালে নন্দির গাও গ্রামে ছাত্রী শ্লীহানিতার এবং ২০২৪ সালে দরাকুল গ্রামের ছাত্রীকে একই নোয়া গাও গ্রামের বখাটে কতৃক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে তার কোন সুষ্ঠ তদন্ত্র ও বিচার ঐ গরিব পরিবারের কেউ পায়নি।ভিকটিমের পরিবার দশ গাঁও নওয়গাঁও স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষকের কাছে বিচার প্রার্থী হলেও ছাত্র সমাজ দেখেছে প্রধান শিক্ষক, সভাপতি ও তার অশিক্ষিত পরিচালনা কমিটির বিচারের নামে প্রহসন। ঐ সময়ে সাধারন ছাত্রছাত্রীরা ক্ষূব্দ হলেও তাদের ভয়ে কেউ মুখ তুলে কথা বলার সাহস পায়নি। খলিলুর রহমান খুবই বদমেজাজী স্বভাবের একজন ব্যাক্তি। তিনি তার কলিগ থেকে শুরু করে ছাত্রছাত্রী সবার সাথে খুবই অসুলভ আচরন করে থাকেন। যার কারনে স্কুল বা কলেজের কেঊ থাকে পছন্দ করেন না। এমনকি ছাত্রছাত্রীর অভিভাবকের সাথেও তিনি খারাপ আচরণ করে থাকেন। উনার জোর একটাই তিনি আব্দুল হাকিম চৌধুরীর খাস লোক। এই ভয়ে প্রধান শিক্ষকের সাথে ভয়ে কেউ কিছু বলার সাহস পেত না। সেই ১৯৯৫ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সম সাময়িক প্রতিষ্ঠান যে সফলতা দেখিয়েছে সেই তুলনায় দশ গাও নয়াগাও হাই স্কুল এন্ড কলেজের সাফল্য অত্যন্ত নগন্য। এর অন্যতম কারন অদক্ষ শিক্ষক পরিষদ ও পরিচালনা পরিষদ। এই পরিচালনা পরিষদে অশিক্ষিত লোকের সংখ্যাই বেশি। অত্র এলাকার শিক্ষিত কোন লোক এই ম্যানেজিং কমিটিতে নেই। যেখানে সভাপতি নিজেই আন্ডার মেট্রিক। এই ম্যানেজিং কমিটি থেকে এর চেয়ে বেশি কিছু আশা করা যায়না। সভাপতি চান না এই গ্রাম বা এলাকা থেকে কেউ যেন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, বিসিএস ক্যাডার ইত্যাদি হউক। উনার ভয়ে কেউ কিছু বলার সাহস পায়না। এরকম যুগযুগ ধরে অত্র এলাকার প্রাইমারি স্কুল, এমনকি নিজ বাবার নামে কওমী মাদ্রাসা সভাপতি উনারই মদদ পোষ্য অশিক্ষিত, গোয়ার লোক কে দিয়ে পরিচালনা করে আসছেন। গ্রামের জামে মসজিদে কোন পাড়ায় কে মাতববরী করবে সেটাও তিনি নির্ধারন করে থাকেন। অত্র গ্রামের মানুষের কোন বাক স্বাধীনতা নেই বললেই চলে।গত ২৩ তারিখ থেকে অত্র স্কুল ও কলেজের সাবেক ও বর্তমান ছাত্রছাত্রীরা প্রিন্সিপাল খলিলুর রহমানের পদত্যাগের জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু, আব্দুল হাকিম চৌধুরী কোন মুল্যেই খলিলুর রহমানের পদত্যাগ করার পক্ষে নয়। খলিলুর রহমানের পদত্যাগ করলে আব্দুল হাকিম চৌধুরীর সব অপকর্ম পাস হয়ে যাবে এই ভয়ে তিনি খলিলের জন্য ছাত্রছাত্রীর লাশ ফেলতেও দ্বিধাবোধ করবেন না যা গ্রামের লোকদের তিনি ইতিমধ্যে শাসিয়ে গেছেন। গ্রামের লোকজন ভয়ে আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের পাশে কেউ এসে দাড়াতে সাহস পাচ্ছেনা। ইতিমধ্যে গোয়াইনঘাট উপজেলা ইউএনও অফিসেও যোগাযোগ করা হয়েছে কিন্তু ছাত্রছাত্রীর পক্ষে কেউ কিছু বলছেনা। আব্দুল হাকিম চৌধুরীর নিজেকে রাজাকারের ছেলে রাজাকার বলে বারবার ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলন বন্ধ করে দেওয়ার এমনকি হামলা , মামলা করার হুমকি দিচ্ছে । কিন্তু, ছাত্রছাত্রীরা প্রিন্সিপাল খলিলুর রহমানের পদত্যাগ ছাড়া ঘরে ফিরছেনা বলেও সাবধান করছে।