রুবেল আহমেদ: সিলেট নগরের বিভিন্ন এলাকায় ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে নষ্ট হয়ে গেছে মালামাল। বাদ পড়েনি সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালও ।
রোববার (২ জুন) দিবাগত রাত ১২টার দিকে সিলেট শুরু হয় অতি বৃষ্টি। টানা ৬ ঘণ্টা বৃষ্টিপাতের কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার (৩ জুন) বেলা ১১টা পর্যন্ত থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছিল। নিদ্রাহীন রাত কেটেছে সিলেটবাসীর। বিশেষ করে বন্যা প্লাবিত উপজেলাগুলো ও নগরীর নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দাদের।
বৃষ্টি থামায় সিলেট নগর থেকে বন্যার পানি নামতে শুরু করেছিল, কিন্তু ফের বৃষ্টি উদ্বেগ বাড়িয়েছে। ফের বাড়তে শুরু করেছে পানি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানিয়েছে, টানা ৬ ঘন্টার বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে সিলেটের ৮টি উপজেলা ফের পানি বাড়ছে ও সিলেট সিটি করপোরেশনের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। রাস্তাঘাট উপচে পানি ঢুকে পড়েছে বাসা বাড়িতে।
সিলেট নগরের মিরের ময়দান পায়রা, দরগাহ, মিরাবাজার, তালতলা, মাছুদিঘীরপার, জামতলা, তোপখানা, কাজির বাজার, যতপুর, তেররতন, উপশহর, সোবহানীঘাট, শেখঘাট, লালদীঘির পাড়সহ অনেক এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ সজিব হোসাইন জানিয়েছেন, আজ সোমবার সকাল ৬টা থেকে ৯টার মধ্যে ২৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। যে কারণে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এখনো থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে।
ওসমানী হাসপাতালের নিচতলায় প্রশাসনিক ভবন, ২৬, ২৭ ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে পানিতে প্লাবিত হয়েছে। চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও আত্মীয় স্বজনদের ভোগান্তিতে পড়েছেন। হাসপাতালের বিভিন্ন কক্ষে পানি প্রবেশ করার ফলে অনেক মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজের নিচতলা পুরোটাতেই পানি ঢুকেছে। গত বছর বন্যার সময় পানি ঢুকে যায়।
এদিকে নগরীতে বন্যার পানিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হওয়া ও নির্ঘুম রাত কাটানো নিয়ে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র ও সিলেটের স্থানীয় সংসদ সদস্যদের প্রতি দাবি জানিয়েছেন সিলেটের সুরমা নদী এবং নদীর পাশের ছড়া ও খাল খননের।
এরআগে রোববার সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়েছিল। বেশকিছু স্থানে কমে এসেছিল পানি। কিন্তু রাতে বৃষ্টিতে ফের পানি বেড়েছে।