সিলেট থেকে রুবেল:
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের হাওর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
জানা যায় সারিঘাট-গোয়াইনঘাট সড়কের দুটি পয়েন্টে- গোয়াইনঘাট-রাধানগর-জাফলং সড়কের শিমুলতলা পয়েন্ট প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার হাওরাঞ্চলের বাড়িঘরের মানুষ এখন পানিবন্দী। এছাড়া উপজেলার রুস্তমপুর, লেংগুড়া, ডৌবাড়ি, নন্দীরগাঁও ইউনিয়ন, পূর্ব ও পশ্চিম আলীরগাও, পশ্চিম জাফলং ও মধ্য জাফলংয়ে প্লাবনের পরিমাণ বেশি হয়েছে।এছাড়া পানিতে সালুটিকর-গোয়াইনঘাট সড়ক তলিয়ে যাওয়ার কারণে যান চলাচল বন্ধ হয়ে উপজেলাসদরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারগণ ভলান্টিয়ারসহ আকস্মিক বন্যাজনিত দুর্যোগ মোকাবেলায় কাজ করছেন।
বুধবার (২৯ মে) দুপুর ১২ টায় পাওয়া তথ্য অনুযায়ী- গোয়াইনঘাট ব্রিজ পয়েন্টে পানির লেভেল ১০.১১ মিটার (ডেঞ্জার লেভেল ১০.৮২)। তবে সারিঘাট পয়েন্টে পানির লেভেল এখন ১২.৮৮। যা বিপথসীমার (ডেঞ্জার লেভেল ১২.৩৫) উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মনিটরিং সেলের অফিসাররা ( পিআইও, কৃষি অফিসার, মৎস্য অফিসার, প্রাণিসম্পদ অফিসার) জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বন্যা দুর্গত ও ঝুঁকিপ্রবণ এলাকাসমূহে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
যে সকল এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ ও প্লাবিত হতে পারে সে সকল এলাকার ঘরবাড়ি, বাজার ও দোকানসমূহ থেকে লোকজন ও মালামালা নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার জন্য স্থানীয়দের সতর্ক করা হচ্ছে।
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন- উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে মোট ৫৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। অতি ঝুঁকিপূর্ণ ও প্লাবন-প্রবণ এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্রে জনগণকে দ্রুত অবস্থান নিতে মাইকিং করা হচ্ছে।