স্কোরবোর্ডে মাত্র ১১৭ রান। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এই রান করেও জেতার আশা করা একটু কঠিনই।
কিন্তু খেলাটা যখন মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের স্পিন স্বর্গে, তখন এই রান নিয়েও লড়াই করা সম্ভব। আর ইংল্যান্ডের জন্য লড়াইটা ছিল সিরিজ বাঁচানোর, বাংলাদেশের রান তাড়ার কাজটাও তাই সহজ হওয়ার কথা ছিল না। ইংলিশ বোলাররা সেটি হতেও দেননি।
যেভাবে এলো স্মরণীয় সিরিজ জয়
মিরপুরে আজ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডের ১১৭ রান টপকাতে বাংলাদেশকে যথেষ্ট কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। ম্যাচ গড়িয়েছে ১৯তম ওভারে। তাতে ছিল টানটান উত্তেজনা। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে হারিয়ে ইনিংসের ৭ বল বাকি থাকতে দারুণ এক জয় পায় বাংলাদেশ।
৪ উইকেটের এই জয়ে সাদা বলের দুই সংস্করণেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুটিই জিতেছে বাংলাদেশ, শেষ ম্যাচটা এখন ইংল্যান্ডের জন্য ধবলধোলাই এড়ানোর লড়াই।
ঘরের মাঠে এর আগেও বড় দলের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। তবে গত নভেম্বরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা উঁচিয়ে ধরা বাটলারদের সেই বিশ্বকাপের পরের সিরিজেই হারানো নিশ্চয় আলাদাভাবে মনে রাখবেন সাকিবরা।
রান তাড়ার শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি বাংলাদেশের। আগের ম্যাচের মতো আগ্রাসী শুরু দেখা যায়নি। ১১৭ রানের পেছনে ছুটতে গিয়ে মন্থর ব্যাটিংয়ের পথটাই বেছে নিয়েছেন লিটন দাস ও রনি তালুকদার। কিন্তু ইংল্যান্ড সিরিজজুড়ে রান খরায় থাকা লিটন আজ আরও একটি সুযোগ হাতছাড়া করেন ভুল শট খেলে। সহজ রান তাড়ার ম্যাচের তৃতীয় ওভারে স্যাম কারেনের বলে ডিপ মিড উইকেটে থাকা একমাত্র ফিল্ডারের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন এই ওপেনার।
আরেক ওপেনার রনিও গতির সঙ্গে পাল্লা দিতে পারেননি। জফরা আর্চারের করা পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে শর্ট মিড উইকেটে ক্যাচ তোলেন রনি। ১৪ বল খেলে ১টি চারে মাত্র ৭ রান এসেছে রনির ব্যাট থেকে। তবে শুরুর ধাক্কাটা সামলে নেন আগের ম্যাচে ভালো করা নাজমুল হোসেন ও তৌহিদ হৃদয়। দুজন মিলে ৩১ বলে ২৯ রান যোগ করেন। তবে দুজনের জুটি লম্বা হতে দেননি অভিষিক্ত রেহান আহমেদ। তাঁর বিশাল টার্ন মেশানো লেগ স্পিনে পয়েন্টে ক্যাচ দেন হৃদয়। আউট হওয়ার আগে ১৮ বলে ১৭ রান করেন তিনি।