

অন্ধকারে হাতড়ায়ে পথ ,
পাহাড় পর্বত গিরি দিয়েছি পাড়ি।
কেউ একজন আওয়াজ দিলো,
সীমান্তের ওপারে নাকি আমার বাড়ি।
রক্ত মাংসে গড়া মানুষ ওরা ,
দৃষ্টির সীমাবদ্ধতায় অনেক উপেক্ষা আমার।
সংশয়ে কেটেছে বহু রাত।
ছিল অধিকার ,মানুষ হবার,
সুপ্ত আগ্নেয়গিরির সাথে মিতালী করে,
রয়ে গেলো অব্যক্ত বাত।
আমি চঞ্চলা ,শুভ্রতা সদা কাছে টানে।
রঙিন হতে সরে রই ,কঠিন অভিমানে।
জানি,
অনেক চাওয়া একসাথে পূরণ হয় না ,
তবে তারা এক সাথে আসেও না।
জীবন সায়েনেহ্নে এসেও বেঁচে থাকার
স্বপ্ন আতংকিত করে।
ও ভয় ,সদা সংশয়ে রয় ,
আবার,….
চেনা মুখগুলো মনোনিমন্ত্রনে ,
আসে অজানা কারণে।
ওরা সত্য মিথ্যে মিশ্রনে ,
ধৌতকরনে পেতে চায় হীরের ঝলক।
তাহারা অতি উৎসাহী মানুষ ,
কদমের মগডালে উঠে,………
ফুলের সুবাসে বেহুশ।
আমি জানি এ জীবন চলন্ত ক্ষয়।
জীবন খন্ড চিত্রে ,ত্রীখন্ড শুধু হেঁটেছি।
আমি যখন ক্লান্ত হয়ে দাঁড়িয়েছি ,
ত্রিশ উর্ধো বান্টিকে তখন হাঁটতে দেখেছি।
কথা আর বাস্তবতাগুলো ,
গল্প বা ইতিহাস হয়ে রয়।
দেখেছি ,
সেই কবে কোথায় ঢেঁকিছাটা চাল ,
নবান্নের উৎসবে মুখরিত গ্রামবাংলা।
আজ কি আর তেমনটা হয় ?
জীবন এ তো একপশলা বর্ষণ হয়ে রয়।
মুখুশ হতে মুখুশের আড়ালে।
কোথায় কি লুকালে ?
ধান, চাল, তেলে, ডালে মিশ্রিত করলে।
পাঁচে দুইয়ে সাত ,তিনে তিনি ছয়।
কোথায় যেন ছয় হলো নয়।
এতো কঠিন অংকের সমীকরণে ,
এমন হেরাফেরি কেন হয় ?
আমি মানবীর একপশলা জীবন
শুভ্রতায় হলো ক্ষয়।