দুটি পাতার একটি কুঁড়ির দেশ সিলেট, এবার গ্যাসের দেশে নাম লেখাতে চলল। সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছনাকান্দি ইউনিয়নে নতুন ভাঙায় আনফরের ভাঙ্গা এলাকায় রাস্তার পাশে মাটির নিচ থেকে ৩ চার দিন ধরে গ্যাস বের হচ্ছে। এতে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে কৌতূহল দেখা দিয়েছে। আশপাশ এলাকার উৎসুক জনতা তা দেখতে ভির করছেন।চলতি বন্যায় বন্যায় জায়গাটি পানিতে তলিয়ে থাকা অবস্থায় পানির নিচে বুদবুদ করতে ছিল। পানি কমে যাওয়ার পর পার্শ্ববর্তী বাড়ির নাছির উদ্দীন সেখানে গ্যাস লাইটের আগুন লাগালে আগুন ধরে যায়। এর পর থেকেই সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গ্যাসের সন্ধান পাওয় গিয়েছে বলে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন উৎসুক জনতা ।শনিবার (৮ জুন) দুপুর ২টায় গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থল সরেজমিন পরিদর্শন করেন।পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন গোয়াইনঘাট সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাইদুল ইসলাম। তোয়াকুল ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী তহশীলদার জীবন আহমেদ ।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরজমিনে পরিদর্শনের পর বিষয়টি বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রোডাকশন কোম্পানী লিমিটেডকে (বাপেক্সে) জানান।এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার ( ৯ জুন) দুপুর আড়াই টায় বাপেক্সের ভূতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগের ব্যবস্থাপক ও টিম প্রধান এস.এম. নাফিফুন আরফিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও গ্যাসের নমুনা সংগ্রহ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাপেক্সের ভূতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগের সহকারী ব্যাবস্থাপক মুহিত আলম, সিলেট গ্যাসফিল্ডের সহকারী ব্যাবস্থাপক শুভংকর সরকার প্রমুখ।
এ ব্যাপারে সিলেট গ্যাসফিল্ডের সহকারী ব্যবস্থাপক শুভংকর সরকার জানান, খবর পেয়ে আমাদের টিম নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এখানে বায়ুজিন না ন্যাচারাল গ্যাস বের হচ্ছে তা এখনো বুঝা যাচ্ছে না। অপাতত স্থানটি মাটি চাপা ও রেড জোন হিসেবে চিহ্নত করে রাখা হয়েছে। এ থেকে জনসাধারণকে দূরে রাখতে ১৩ নং বিছনাকান্দি ইউনিয়ন ইউনিয়নের (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যকে দায়িত্ব দিয়েছি। বাপেক্সের প্রতিনিধি দল এসেগ্যাসের স্যাম্পল সংগ্রহ করেছেন। পরীক্ষা-নিরিক্ষার পর জান যাবে গ্যাসের বিষয়টি।এ বিষয়ে বাপেক্সের ভূতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগের ব্যবস্থাপক ও টিম প্রধান এস. এম. নাফিফুন আরফিন বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও গ্যাসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ল্যাবে পরীক্ষার জন্য ৩ বোতল গ্যাসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।তিনি আরো বলেন, এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে।ব্রিজ নির্মাণে কয়েক জায়গায় ফাইলিং করা হয়েছে। তবে এই জায়গায় ফাইলিংয়ের সময় গ্যাসের আলামত পেয়েছেন বলে তাকে জানিছিলেন এলজিইডি কর্তৃপক্ষ।গ্যাসের নমুনা পরীক্ষার পর সার্ভে করা হবে। তার আগে গ্যাসের নমুনা ল্যাবে পরীক্ষা করলেই জানা যাবে গ্যাসের ধরন বায়ুজনিক না থার্মোজনিক।গ্যাসের অরিজিনটা বুঝার পরে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। গ্যাসের প্রেসার ভালো আছে এখানে পজেটিভ কিছু একটা হবে দেশ ও জাতির জন্য কিছু একটা করতে পারবে সেই আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।