কিছুদিন আগেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর আবার সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পরাজিত হওয়া সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ। ভোটের ১৪ দিন পর মঙ্গলবার বিকেলে তিনি কয়েকজন শ্রমিকের সহযোগিতায় কার্যালয়ের আসবাব এবং কক্ষের অন্দরসজ্জার জিনিসপত্র খুলে নিয়ে গেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, শামীম আহমদ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় ব্যক্তিগত অর্থ ও বিভিন্নজনের সহযোগিতায় উপজেলা পরিষদে তাঁর নিজের কার্যালয়ে অন্দরসজ্জা (ইন্টেরিয়র ডিজাইন) করানোসহ নানা আসবাব আনেন। দ্বিতীয় ধাপের ২১ মে অনুষ্ঠিত কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি ৬ হাজার ১৫ ভোটের ব্যবধানে জেলা আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক মো. মজির উদ্দিনের কাছে পরাজিত হন।কোম্পানীগঞ্জের একাধিক জনপ্রতিনিধি ও সচেতন নাগরিক বলেন, কক্ষে থাকা একটি শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি), চারটি চেয়ার এবং চেয়ারম্যানদের নামফলকের বোর্ড ছাড়া প্রায় সবকিছুই পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী সরিয়ে নেন। ব্যক্তিগত টাকায় কেনা হলেও সরকারি কার্যালয়ে কিছু দান করার পর এটা অনেকটা সরকারিই হয়ে যায়। এ ছাড়া ব্যক্তিগতভাবে দান করলেও কেবল পরাজিত হওয়ার কারণে একজন জনপ্রতিনিধি সবকিছু খুলে নিয়ে যাবেন, এটা হয় না। এটা অসভ্যতা ও অভদ্রতা। এমন আচরণ কোনো জনপ্রতিনিধির কাছ থেকে মানুষজন আশা করেন না।
যোগাযোগ করা হলে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী শামীম আহমদ বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত টাকায় জিনিসগুলো কেনা হয়েছিল। তাই সেগুলো খুলে এনেছি।’এ ব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও সুনজিত কুমার চন্দ বলেন, ‘উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কক্ষে ব্যক্তিগতভাবে ইন্টেরিয়র ডিজাইন করাটা ভুল ছিল, খুলে নেওয়াটাও ভুল ছিল। ব্যক্তিগত দান খুলে নিতে পারবেন কি পারবেন না, এ নিয়ে কোনো বিধানও নেই। আমরা এ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেব। তবে তিনি (শামীম আহমদ) আবার এখন বলছেন, সবকিছু লাগিয়ে ঠিকঠাক করে দিয়ে যাবেন।’