পঞ্চবার্ষিক কর পুনর্মূল্যায়নের পর গত ৩০ এপ্রিল ২০২৪ থেকে সিটি করপোরেশন নতুন নির্ধারিত বার্ষিক গৃহকর (হোল্ডিং ট্যাক্স) অনুযায়ী ভবনমালিকদের হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধের নোটিশ দেওয়া শুরু করে। এরপর নগরের প্রায় পৌনে এক লাখ ভবনমালিকের হোল্ডিং ট্যাক্স ৫ থেকে ৫০০ গুণ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। এ নিয়ে নগরজুড়ে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দেয়। এর পর থেকে প্রতিদিন নগরের বিভিন্ন সংগঠন হোল্ডিং ট্যাক্স বাতিলের দাবিতে নিয়মিত আন্দোলন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন শুরু হয়।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নাগরিকদের প্রতিবাদ ও আন্দোলনের মুখে সিলেট নগরের পুরাতন ২৭টি ওয়ার্ডে নির্ধারণ করা নতুন হোল্ডিং ট্যাক্স বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিটি কর্পোরেশন।শুক্রবার (২৪ মে) রাতে নগর ভবনের সভাকক্ষে জরুরী সাধারণ সভা শেষে সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। এসময় তিনি জানান, পরে রি-অ্যাসেসমেন্টের মাধ্যমে নতুন গৃহকর নির্ধারণ করা হবে।এর আগে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং কাউন্সিলরবৃন্দের সর্বসম্মতিক্রমে সকল হোল্ডিংয়ের এসেসমেন্ট রি-এসেসমেন্ট বাতিল করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় এবং ৪২টি ওয়ার্ডের হোল্ডিং সমূহে নতুন করে রি-এসেসমেন্ট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, পুরনো ২৭ ওয়ার্ডের পাশাপাশি একই সাথে নতুন অন্তর্ভুক্ত ১৫ টি ওয়ার্ডের এসেসমেন্ট শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে বকেয়া হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় অব্যাহত থাকবে। বকেয়া প্রদানের জন্য আহবান জানান তিনি।তিনি আরও বলেন, কাউন্সিলরদের সাথে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নাগরিকবৃন্দের দাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে ২৭টি ওয়ার্ডের হোল্ডিং ট্যাক্স এসেসমেন্ট রি-এসেসমেন্ট বাতিল করে হোল্ডিং সমূহে নতুন করে রি-এসেসমেন্ট ও একই সাথে নতুন অন্তর্ভুক্ত ১৫ টি ওয়ার্ডের এসেসমেন্ট কার্যক্রম চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।মেয়র আরও বলেন, এর আগে আমি সম্মানিত নাগরিকবৃন্দের কাছে বারবার বলেছিলাম যে, জনগণের জন্য অকল্যাণ হয় এমন কোনও সিদ্ধান্ত আমি নিবো না। জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে আমার দায়িত্ব তাদের মতামতকে মূল্যায়ন করার। জনগণ ও কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে চলমান এসেসমেন্ট বাতিল করে নতুন করে রি-এসেসমেন্ট করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। বকেয়া হোল্ডিং ট্যাক্স প্রদানের জন্য নগরবাসীকে অনুরোধ জানান তিনি।
এসময় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরবৃন্দ, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান,সচিবসহ বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।